- ঘোনা ইউনিয়ন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আপনাকে স্বাগতম
সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে ৪নং ঘোনা ইউনিয়নের তৎকালীন বিশিষ্ঠসমাজসেবক বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা মো: খোশলাল ঢালী ও তার সহিত অক্লান্ত পরিশ্রম,অর্থ, জমি আর মেধা দিয়ে সহযোগীতা করেন মাষ্টার সাদেক আলী, গুরুচরণ ঘোষ,অন্নদা চরননাথ,ডা: রুহুল আমিন, নিমাই চরন ঘোষ,কালিপদঘোষ,সাধন চন্দ্র গাইন,ইবাদার সরদার,,মো: আকবর আলী ঢালী (বাশদহা), আয়েনউদ্দীন গাজী,ডা: নুরুল হক, রজব আল সরদার, সচীন দেবনাথ,আবুল খায়ের(চেয়ারম্যান ,আলিপুর ইউনিয়ন),ইসাহক আলী মাষ্টার ,ডা: গোলাম রসুল প্রমুখ। অত্র “ঘোনা” ইউনিয়নের নামে নামাংকিত “ঘোনা ইউনিয়ন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি” উপজেলার ৪ নং ঘোনা ইউনিয়নের ছনকা নামক স্থানে ০২/০১/১৯৫৪ ইং খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম সভা
==================
অন্নদা চরন নাথ আহবায়ক হিসেবে ০২/০২/১৯৫৪ ইং তারিখ বিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামের ( ছনকা, ঘোনা, ভাড়ুখালী,বাশদহা) সহ অন্যান্য বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষানুরাগী এবং বিশেষ সুধী মন্ডলীকে বর্তমান ঘোনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চত্বরে একত্রিত করে উক্ত তিন গ্রামের ( ছনকা, ঘোনা, ভাড়ুখালী)সমন্বয়ে একটি পুর্ণাঙ্গ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আলোচনা ক্রমে সার্বিক কার্যক্রম গ্রহনের জন্য অনুরোধ করেন।
উক্ত সভায় উপস্থাপনা করেন
==================
মো: আকবর আলী ঢালী (এম,এ,) ( বাশদহা)
সভাপতিত্ব করেন
==========
আবুল খায়ের(এম,এ,)(তৎকালীন চেয়ারম্যান ,আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ),
বিদ্যালয়ের নাম করণ
=============
উপস্থিত সুধীজনের মধ্যে বিদ্যালয়টির নামকরনের জন্য বিভিন্ন নামের প্রস্তাব আসলেও তাদের মধ্যে অন্নদা চরন নাথ এর প্রস্তাবিত “ঘোনা ইউনিয়ন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়”, নাম উপস্থিত সকলের মনোপুত হওয়ায় সর্বসম্মতি ক্রমে প্রস্তাবিত বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয় “ঘোনা ইউনিয়ন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়”।
স্থান নির্ধারণ
========
দা চরন নাথ বিদ্যালয়টি ঘোনা বাজারের পার্শবর্তী কোন স্থানে স্থাপনের জন্য প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে স্বঃতস্ফুর্ত ভাবে এবং সর্বসম্মতিক্রমে বিদ্যালয়টি ঘোনা বাজার সংলগ্ন স্থানে প্রতিষ্ঠার জন্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।ফলে ছনকায় নিমাই চন্দ্র ঘোষ, কালিপদ ঘোষ, র জব আলী সরদার এর 1জমিদান এর মাধ্যমে বিদ্যালয়টি র স্থান নির্ধারণ চুড়ান্ত হয়।
বিদ্যালয় উন্নয়ন
===========
গ্রামএর অনেক সুধী জন বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য নিজেদের সাধ্যমত ছোটো ছোটো অনুদান হিসেবে জমি ও অর্থ দান করেন। তন্মধ্যে আ: মোতালেব(সাংবাদিক), মাষ্টার সাদেক আলী, ডা:আ: বারী।
সরকারী আর্থিক বরাদ্দের ক্ষেত্রে তৎকালীনপাকিস্থান আমলের প্রধান সাহায্যকারী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব আমজাদ হোসেন এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।
তাছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশ হওয়ার পর ফ্যাসলিটিজ বিভাগ থেকে যে ভবন নির্মান হয় তার জন্য সরকারী বরাদ্দের জন্য আপ্রান চেষ্টা করেছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক মো: লুৎফর রহমান, এবং প্রাক্তন শিক্ষক বাবু অশোক কুমার পাল এর নাম উল্লেখযোগ্য।
২০১০ সালের শিক্ষা প্রকেশেৌ বিভাগের আরেকটি ভবন এর জন্য তৎকালীন ১০৬,সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মাও: আ: খালেক এর অবদান অন্যতম।